বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসের পরিস্থিতি এই উদ্বেগকে আরো ঘনীভূত করেছে। সরকারের ক্রমাগত হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে অধিকার ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলো। এই সময়ে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে এবং বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত আছে। এর পরিণতি হিসেবে রাজনীতিতে চরমপন্থার উত্থানের সম্ভাবনা সম্পর্কে মানবাধিকার কর্মীরা বারবার সতর্ক করলেও সরকার দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। এই সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও পায়ে সরাসরি গুলি করার অভিযোগ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা এবং কথিত ‘চরমপন্থী’দের দমন অভিযানের নামে সারাদেশে গণগ্রেফতার চালানো হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ ২০১৬ সালের জুন মাসে ১৫ হাজারের বেশি মানুষকে বিনাবিচারে আটক করা হয়েছে গণহারে গ্রেফতারের উন্মাদনার অংশ হিসেবে। গণগ্রেফতারের ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, এমনকি পথচারী ও শিশুরাও গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন। কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি ঠেঁসে রাখা হয়েছে। এই সময়েই ২২ জন বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বর্তমানের এই বিপদাসঙ্কুল পরিস্থিতিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে।
এখানে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন বাংলায় দেখতে পাবেন।