এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিস্এ্যাপিয়ারেন্সেস (আফাদ) ও অধিকার এর যৌথ বিবৃতি
ম্যানিলা-ঢাকা; ১ নভেম্বর ২০২১: গত ৩১ সেপ্টেম্বর ২০২১ গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাক এর প্রতিষ্ঠাতা হাজেরা খাতুনের বাড়িতে দোয়া মহফিলের অনুষ্ঠানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করায় অধিকার ও এশিয়ান ফেডারেশন এগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিস্এ্যাপিয়ারেন্সেস (আফাদ) তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
গুমের শিকার বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন ও ‘মায়ের ডাক’ এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম জানান, তাঁর মা হাজেরা খাতুন দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে তিনি বাড়ি ফিরে এলে পরিবারের সদস্যরা তাঁর রোগমুক্তি ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরে পাওয়ার জন্য এক দোয়া মহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা এবং সুমনের রাজনৈতিক সহকর্মী বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। অনুষ্ঠান চলাকালে দুপুর ১.৩০ মিনিটে তেজগাঁ থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালায় এবং কমপক্ষে ১৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। সানজিদা ইসলাম আরো জানান, অভিযানের সময় বাড়ির বিভিন্ন কামরায় পুলিশ জোরপূর্বক প্রবেশ করে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের পেটায়।
গুমের শিকার ব্যাক্তিদের পরিবারগুলোর সাথে সম্মানজনক আচরণ করা উচিৎ। গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলোতে গুমের ঘটনা অব্যাহত আছে।
অধিকার এর তথ্যমতে ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ এর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫৪ জন ব্যক্তির এখনও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং ৮১ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র যেই ঘটনাগুলো জানা গেছে সেই ঘটনাগুলোরই ব্যাপারে।
আফাদ এবং অধিকার লক্ষ্য করছে যে, গুমের পাশপাশি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সভা-সমাবেশের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরন করেছে। কোনো ঘরোয়া বৈঠকে জমায়েত হলে বা কোনো সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে গেলে পুলিশ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের আটক করে মামলা দায়ের করছে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেয়া এবং তাঁদের স্বজনদের ওপর নিপীড়ন ও হয়রানী বন্ধের জন্য আফাদ ও অধিকার জোর দাবি জানাচ্ছে।
এখানে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন বাংলায় দেখতে পাবেন।